ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ মাইল মুক্তিযোদ্ধা পশুর হাটে, বেচা-কেনা জমজমাট


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-০৫ ২০:৩৫:৪৫
১০ মাইল মুক্তিযোদ্ধা পশুর হাটে, বেচা-কেনা জমজমাট ১০ মাইল মুক্তিযোদ্ধা পশুর হাটে, বেচা-কেনা জমজমাট
 
 
মোঃ আইয়ুব চৌধুরী রাজস্থলী, রাঙ্গামাটি : দশ মাইল মুক্তিযুদ্ধা পশুর হাট জমে উঠেছে, কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় হাটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতার বিড়। বিরামহীনভাবে চলছে কেনাবেচাও। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল দশটা থেকে চট্রগ্রাম দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া দশ-মাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজারটি অনেকের সু-পরিচিত।

 
এ বাজার চট্টগ্রাম, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটি এ তিন জেলার সংযোগ স্থলে হওয়ায় বাজারটিতে তিন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতার বিড় লক্ষ করা যায়। এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেপারী ও খামারীরাও গরু নিয়ে এই বাজারে এসেছেন। 

 
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হতে কোরবানির গরু ক্রয় করতে আসা আবু সাইদ ও মো: জসিম এবং রাইহান উদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়। তারা পাহাড়ি গরু ক্রয় করতে আসছে।

 
তাদের পাহাড়ি গরু কেন, প্রশ্ন করা হলে তারা এক কথায় উত্তর দিল পাহাড়ি গরু পাহাড় থেকে লতা, পাতা, ঘাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক খাবারে খেয়ে বড় হওয়ায়। এবং গরুর শরীরে কোন ধরনের মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন-ঔষধ না দেওয়া ইত্যাদি। এক কথায় পাহাড়ি গরুর প্রতি সবাই আকৃষ্ট। 
 
 
আবার অনেকে হাটে এসেছেন ঘুরে দেখার জন্য এবং পছন্দ হলে দরদাম করছেন, দরদামে বনিবনা হয়ে গেলে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের কোরবানির পশু। এই হাটে দেখা মিলছে নানা জাতের গরু এবং ছাগল।

 
তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে, বেশী। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতারা।
 
 
ব্যাপারী ও খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরু দরদাম হলেও বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে।

 
মোঃ শরিফুল নামে এক গরু বিক্রেতা বলেন, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দাম বেশি হাঁকায় চাহিদা কম বড়ো আকারের গরু-ছাগলসহ অন্যান্য প্রজাতির পশুর।

 
এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বিকেলে গরম একটু কম হলে পশুরহাট আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।

 
দশ-মাইল পশুর হাট বাজার কমিটির সদস্য মোঃ ফজল করিম বলেন - আমরা এই বাজারের নিরাপত্তার স্বার্থে বাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি।
এবং টাকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মেসিন রাখা হয়েছে। এবং আমাদেরকে প্রসাশনিক ভাবে সার্বিক সহযোগিতা করছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এবং উপজেলা প্রশাসন।

 
দক্ষিন রাঙ্গুনীয়া থানার ওসি মোঃএটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন- দক্ষিন রাঙ্গুনীয়ায় যত পশুর হাট আছে সব গুলো পশুর হাটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ